যদি অন্যের উপকার করতে চান, তাহলে নিজের যত্ন নিন
যে নিজের ভালো বুঝে না, তার দ্বারা পৃথিবীর কারো কোনো উপকার আশা করা যায় না।
অনেকে বলে আমি আমার বিষয় বা সমস্যা নিয়ে চিন্তিত না। আমি আমার সব কিছু দিয়ে শুধু তোমার বা তোমাদের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। এসব নিতান্তই আবেগের কথা। যা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বড় জটিলতা সৃষ্টি করে। যে নিজের ভালো বুঝে সে আপনাকে কথা দিক বা না দিক, তার সান্নিধ্য আপনার মঙ্গল ডেকে আনবে। এখানে একটা কথা বুঝার আছে। সার্থপর ব্যক্তি ও নিজের ভালো চায়। আমি তাদের কথা বলছি না। এটা আপনাকেই বুঝতে হবে কে ভালো মন্দের তফাৎ বুঝে আর কে নিতান্তই সার্থপর. সার্থপর লোক আসলে তার নিজের জন্যেও মঙ্গলজনক নয়। সে শুধু লোভী। আর লোভের পরিনতি আমরা খুব ভালো ভাবেই জানি।
ব্যাপারটা হচ্ছে যে নিজের ভালো বুঝে না, সে আসলে কারো ভালো করতে পারে না। হয়ত ভালো কিছু করতে চায়। কিন্তু দিন শেষে সেই চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।
একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্তপুর্ন অঙ্গ হচ্ছে হার্ট বা হৃতপিন্ড। অন্য ভাবে বলতে গেলে হার্ট বা হৃতপিন্ডই একটা মানুষকে বাঁচিয়ে রাখছে। আর আপনারা জানেন কিনা যে শরীরের সবচেয়ে ভালো অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত হার্ট নিজের জন্য ব্যবহার করে। হার্ট কিন্তু এটা কখনই বলে না যে আমি যেমনই থাকি জীবন দিয়ে হলেও শরীরটাকে বাঁচিয়ে রাখব।
কারণ হার্ট জানে অন্যকে সাহায্য করতে হলে আগে নিজেকে সুস্থ থাকতে হবে। অন্য ভাবে বলতে গেলে কাউকে ভালো রাখতে গেলে ঠিক কি করতে হবে এটা সে ই ভালো জানে, যে নিজের জন্য সেই প্র্যাকটিস করে।
আবেগের বসে আপনি অনেক কিছু করতে পারেন যেটা হয়ত আপনার ভালবাসার মানুষদের জন্য ক্ষতিকর।
আমরা সত্যিকার অর্থেই ভালো থাকতে চাই। আর সেটার জন্য নিজের চরিত্র উন্নত করা খুবই জরুরি। এ জন্য সব চেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে ধর্মীয় বিধান মেনে চলা। আপনি যে ধর্মেরই হন না কেন, আপনার প্রতি আমার অনুরোধ আপনার ধর্মগ্রন্থ অর্থ সহ বুঝে পাঠ করুন। মেনে চলুন। ধর্মীয় বিধান নিয়ে অহেতুক অন্যের সাথে ফাইট করতে যাবেন না। আপনি কাউকে জোর করে কিছু করাতে পারেন না। উদাহরণ তৈরী করুন। একজন প্রকৃত ভালো মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুন। মানুষ আপনাকে ভালবাসবে।সকলেই উপকৃত হবে।

কোন মন্তব্য নেই: